ব্যাকলিঙ্ক ইনডেক্স করার এক্সপার্ট টিপস
যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে লিঙ্ক করা হবে তখন তা ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে। যেই ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটকে এক বা একাধিক লিঙ্ক দিবে তা আপনার জন্যে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে। যেমন ঃ ফোরাম পোস্টিং, ডাইরেক্টরি সাবমিশন,আর্টিকেল সাবমিশন, ব্লগ কমেন্টিং, সোশ্যাল বুকমার্কিং, গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি। এগুলি অবশ্যই পরিমিত মাত্রায় হতে হবে।
এছাড়াও যে ধরনের ব্যাকলিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিন সাইট এর জন্য পছন্দ করে। সেই ধরনের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে হবে। যেমন ঃ
১) ন্যাচারাল ব্যাকলিঙ্ক
২) কন্টেক্সচুয়াল ব্যাকলিঙ্ক
৩) স্প্যাম ফ্রী সাইট ব্যাকলিঙ্ক
৪) রিলেটেড ব্যাকলিঙ্ক
৫) ইন্টারনাল ব্যাকলিঙ্ক
যাক এবার আসল কথায় আসি ব্যাকলিঙ্ক তখন কাজে আসবে যখন ব্যাকলিঙ্কগুলো ইনডেক্স হবে। আমরা প্রায়শ ব্যাকলিঙ্ক করি কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাকলিঙ্ক ইনডেক্স হয় না । ফলে আমাদের কষ্টটা বৃথা।
ব্যাকলিঙ্ক ইনডেক্স হয় না যে কারণে ঃ
০১) কন্টেন্ট ঃ আমরা বার বার বলে থাকি ” কন্টেন্ট ইজ কিং ” । কিন্তু কথাটাতে একটু ভুল আছে সেটা হল ” কুয়ালিটি কন্টেন্ট ইজ কিং” । এখন প্রশ্ন আসতে পারে কুয়ালিটি কন্টেন্ট ? হুম মানসম্মত ও ইউনিক লিখা । স্পিন বা কপি করা কন্টেন্ট গুগল পছন্দ করে না । বেশিরভাগ সময় ডুপ্লিকেট কন্টেন্টের জন্য ব্যাকলিঙ্ক ইনডেক্স হয় না। সুতরাং কন্টেন্টের প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে।
০২) নো-ফলো ট্যাগ ঃঅনেক সাইট লিঙ্কে নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করে যা সার্চ ইঞ্জিন ক্রওলার কে লিঙ্ক করা ওয়েবসাইটে যাওয়া থেকে বিরত রাখে, যার মানে দাঁড়ায় তা ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে না। এই নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা হয় স্প্যামিং বন্ধ করার উদ্দেশ্যে।
০৩) স্প্যাম প্লাটফর্ম ঃ স্প্যাম প্লাটফর্ম অর্থাৎ অনেক সফটওয়্যার আছে যেই সফটওয়্যার দ্বারা অটোমেটিক ব্যাকলিঙ্ক করা যায় । এই ব্যাকলিঙ্ক গুলো গুগল পছন্দ করে না । স্প্যাম করে ১০০০ ব্যাকলিঙ্ক করার চেয়ে ম্যানুয়ালি ভাল পেইজ রেঙ্ক ,ডোমেইন অথরিটি দেখে ১০০ ব্যাকলিঙ্ক করা উত্তম।
ব্যাকলিঙ্ক সহজেই যেভাবে ইনডেক্স করবেন ঃ
০১) পিঙ্গিং: আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে নতুন কিছু পোষ্ট করবেন, কিংবা কোনো কিছু আপডেট করবেন যা আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিং-এ কাজে আসতে পারে, তখন আপনার এই পরিবর্তনের বিষয়টা সার্চ ইন্জিন ক্রলারকে জানাতে হয়। জানানোর উদ্দেশ্য হল এই ক্রলার যেন আপনার নতুন পোষ্ট বা আপডেটকে যত দ্রুত সম্ভব ইনডেক্স করে নেয়। পিঙ্গিং করার জন্য পেইড আন পেইড দুই ধরনের সার্ভিসই আছে। যেমন ঃ
১) 24/7 Pinger
২) Ping Farm
৩) BulkPing.com
৪) BacklinkPing.com
০২) সেকেন্ড টায়ার লিঙ্ক ঃ যে ব্যাকলিঙ্কগুলো সরাসরি মেইন সাইটের সাথে কানেকটেড থাকে সেগুলোকে বলা হয় ফার্ষ্ট টায়ার লিঙ্ক। এই ফার্ষ্ট টায়ার লিঙ্কটিকে যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইটে পোষ্ট করা হয়, তবে সেটা হবে ফার্ষ্ট টায়ার লিঙ্কের একটা ব্যাকলিঙ্ক। এই ফার্ষ্ট টায়ার লিঙ্কের ব্যাকলিঙ্কটাকে আমরা বলব মেইন সাইটের সেকেন্ড টায়ার লিঙ্ক। সেকেন্ড টায়ার ব্যাকলিঙ্কগুলো তৈরি করার উদ্দেশ্য হল ফার্ষ্ট টায়ার লিঙ্কগুলোর অথারিটি বৃদ্ধি করা এবং তাদেরকে দ্রুত ইনডেক্স করতে সহায়তা করা।
০৩) ওয়েব ২.০ ঃ ওয়েব ২.০ এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা। এর সাহায্যে সহজেই ফ্রিতে ভাল মানের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা যায়। এই ব্যাকলিঙ্ক গুলো সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং ও অন্যান্য রেঙ্কিং বাড়তে সাহায্য করবে। ওয়েব ২ . ০ সাইটের লিস্ট ঃ ডাউনলোড ওয়েব ২.০ সাইট লিস্ট
০৪) সোশাল সিগনাল ঃ আপনার যে কোনো পোষ্ট বা স্যোসাল বুকমার্কিং লিঙ্কের RSS feed তৈরি করুন এবং সাবমিট করুন। RSS Feed তৈরি ও সাবমিট করার জন্য feedage.com ব্যবহার করতে পারেন।
নিচে কিছু লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি যা ব্যাকলিঙ্ক এর কাজটা সহজ করে দিবে ।
3. https://www.seoprofiler.com/
যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্স ওয়েট করছে আপনার জন্য ।