সাধারণ জ্ঞান: মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, পর্ব-০২
১/ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছয় দফা কর্মসুচী ব্যক্ত করেন
— ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ সালে।
২/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়
— জানুয়ারী, ১৯৬৮।
৩/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিশেষ আদালতের বিচারক ছিলেন
–পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এস.এ. রহমান।
৪/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার হয়
— জুন, ১৯৬৮।
৫/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিল
— ৩৫ জন।
৬/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী ছিলেন
— শেখ মুজিবর রহমান।
৭/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়
— ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯।
৮/ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করে
— ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯।
৯/ আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়
— ২৫ মার্চ, ১৯৬৯ সালে, রাজনৈতিক সংকটের জন্য।
১০/ পুলিশের গুলিতে শহীদ আসাদ নিহত হন
— ২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯।
১১/ শহীদ আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন
— আইন বিভাগের।
১২/ পুলিশের গুলিতে শহীদ মতিউর নিহত হন
— ২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯।
১৩/ শহীদ মতিউর কোন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন
— নবকুমার ইনষ্টিটিউশনের, নবম শ্রেনীর ছাত্র।
১৪/ শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হত্যা করা হয়েছিল
–১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।
১৫/ আইয়ুব খান কবে কার নিকট পাকিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর করেন
— ২৫ মার্চ, ১৯৬৯, আগা মুহম্মদ ইয়াহিয়া খান।
১৬/ শেখ মুজিবর রহমানকে বঙ্গবন্ধুকে উপাধিতে ভুষিত করা হয়
— ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী।
১৭/ শেখ মুজিবর রহমানকে জাতির জনক ঘোষনা দেয়া হয়
— ০৩ মার্চ ১৯৭১।
১৮/ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে প্রথমে জাতির পিতা ঘোষনা দেন
— আ.স.ম আবদুর রব।
১৯/ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের আসন পেয়েছিল
— ১৬৭ টি আসন।
২০/ পাকিস্তানের প্রথম সাধারন নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়
– ০৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০সাল।
২১/ আলোচনা ভেঙ্গে দিয়ে ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করেন
— ২৫ মার্চ,১৯৭১ রাতে।
২২/ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়
— ০৩ মার্চ, ১৯৭১, পল্টন ময়দানে।
২৩/ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা পাঠ করা হয়
— ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
২৪/ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়
— চট্টগ্রামের কালুরঘাটে, ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
২৫/ মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন যারা
— ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
২৬/ মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠিত হয়
— ১৯ মার্চ, ১৯৭১ গাজিপুরে।
২৭/ স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন
— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২৮/ প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়
–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসভায়।
২৯/ প্রথম কবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়
— ০২ ই মার্চ, ১৯৭১।
৩০/ বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন
— আ স ম আব্দুর রব।
৩১/ শেখ মজিবুর রহমানকে প্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়
— ২৫ মার্চ,১৯৭১ মধ্যরাতে।
৩২/ সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা মন্ত্রিসভা গঠিত হয়
— ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
৩৩/ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল
— ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
৩৪/ বাংলাদেশকে প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করা হয়েছিল
— ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
৩৫/ বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহন করেছিল
— ১৭ এপ্রিল,১৯৭১।
৩৬/ বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সদস্য সংখ্যা কত ছিল
— ৬ জন।
৩৭/ বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল
–মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
৩৮/ মুজিবনগরের পুরাতন নাম কি ছিল
— বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া।
৩৯/ বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর রাখেন
— তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
৪০/ মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন
— এম, মনসুরআলী।
৪১/ মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রি ছিলেন
–তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
৪২/ মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন
— শেখ মুজিবর রহমান।
৪৩/ মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন
–সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
৪৪/ মুজিবনগরে নতুন সরকার গঠনের ঘোষনাপত্র পাঠ করেন
— অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
৪৫/ মুজিবনগরে সরকারকে প্রথম গার্ড অনার প্রদান করেন
— মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।
৪৬/ জেনারেল ওসমানী কবে বাংলাদেশের সেনা প্রধান নিযুক্ত হন
— ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
৪৭/ বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন
–ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
৪৮/ প্রথম কোন বাংলাদেশী কূটনীতিক দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন
— এম হোসেন আলী।
৪৯/ শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্তিলাভ করেন
— ১০ জানুয়ারী ১৯৭২।
৫০/ “এ দেশের মাটি চাই, মানুষ নয়”- এ উক্তি যার
— জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
৫১/ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে বিদেশী মিশনে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়
— ১৮ এপ্রিল কলকতায়।
৫২/ মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে সমগ্র বাংলাদেশকে ভাগ করেছিলেন
— ১১ টি সেক্টরে।
৫৩/ যে সেক্টরে নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না
— ১০ নং সেক্টর।
৫৪/ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেন
— ৭ জন।
৫৫/ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন
— ৬৮ জন।
৫৬/ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর বিক্রম উপাধি লাভ কেও
— ১৭৫জন।
৫৭/ স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্তির সংখ্যা
— ৪২৬ জন।
৫৮/ স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মোট খেতাব প্রাপ্ত হন
— ৬৭৬ জন।
৫৯/ যে বীর শ্রেষ্ঠের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি
— বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
৬০/ যে বীর শ্রেষ্ঠের কোন খেতাবী কবর নেই
— বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।
৬১/ সম্প্রতি যে বীরশ্রেষ্ঠর কবর পাকিস্তান থেকে দেশে এনে সমাহিত করা হয়েছে
— বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান।
৬২/ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর কোথায় ছিল
— পাকিস্তানের করাচীর মাশরুর বিমান ঘাটিতে।
৬৩/ কোন বীর শ্রেষ্ঠের কবর বাংলাদেশে ছিল না
— বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের।
৬৪/ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর ছিল
— ভারতের আমবাসা এলাকায়।
৬৫/ দুইজন খেতাবধারী মহিলা মুক্তিযোদ্ধার নাম
— ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
৬৬/ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একজন ইতালীর নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন যার নাম ছিল
— মাদার মারিও ভেরেনজি।
৬৭/ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী
–হোসাইল হেমার ওয়াডার ওয়াডারল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া।
৬৮/ বাংলাদেশে সর্বকনিষ্ঠ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা
–শহীদুল ইসলাম (লালু) বীর প্রতীক।
৬৯/ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়
— ২১ নভেম্বর, ১৯৭১।
৭০/ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে
– ০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
৭১/ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন
— জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
৭২/ পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পন করেন
–জেনারেল এ, কে নিয়াজী।
৭৩/ মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণ দলিল স্বাক্ষরিত হয়
— রেসকোর্সময়দানে।
৭৪/ জেনারেল এ, কে নিয়াজী যার নিকট আত্মসমর্পণ করে
— জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার।
৭৫/ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করেন
–বিমান বাহিনীর প্রধান কমোডর এ কে খন্দকার।
৭৬/ জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পের সময় পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা ছিল
— ৯৩ হাজার।
৭৭/ যে সাহিত্যক মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন
— আবদুস সাত্তার।
৭৮/ স্বাধীনতা বাংলা বেতার কেন্দ্রের চরমপত্র নামক কথিকা কে পাঠ করতেন
— এম আর আখতার মুকুল।
৭৯/ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কখন
— ১৯৮০ সালে।
৮০/ বীর শ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম মৃত্য বরণ করেন
— মোস্তফা কামাল (৮ এপ্রিল, ১৯৭১) ।
৮১/ বীর শ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষে মৃত্য বরণ করেন
–মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১)।
৮২/ সাইমন ড্রিং ছিলেন
— ১৯৭১সালে ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ সাংবাদিক। যিনি সর্বপ্রথমপাকিস্থানী বর্বরতার কথা বর্হিবিশ্বে প্রকাশ করেন।